দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে’

‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন সন্ত্রাস করেছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। যদি তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মাধ্যমে কিছু করতে চায়, দেশের মানুষই তার জবাব দেবে। সেই দিন আর নেই। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন।’

শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সরকারি মার্চেন্টস একাডেমির মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।

জনসভার আগে দুপুর ১টার সময়ে মন্ত্রী রায়পুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। পরে তিনি থানার সামনে আর্টস্কুল উদ্বোধন ও পৌর শহরের ধানহাটা এলাকায় শ্রী শ্রী রাধামদন জিউর মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এবার প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ পূজামণ্ডপ হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য মণ্ডপগুলোতে প্রায় ছয় লাখ আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় পুলিশও আছে। স্বেচ্ছাসেবীরাও মণ্ডপে কাজ করছেন। তবুও সবার মাঝে একটি শঙ্কা কাজ করছে। তবে আমরা বলছি কিছুই ঘটবে না।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ঘটনা যেখানেই ঘটে সেখানেই মামলা হয়। বিএনপির গায়েবি মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলাগুলো করেন। বিএনপি এটাকে গায়েবি মামলা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেগুলো গায়েবি মামলা বলা হচ্ছে, সেসব ঘটনা ঘটেছে বলে মামলাগুলো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ষড়যন্ত্র করে আসছে। সবাই দেখেছে তারা কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ পুড়িয়েছে। কাজেই দেশের মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী টানা ১৫ বছরে দেশকে উন্নয়ন আর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। দেশকে বদলে দিয়েছেন। মানুষ যখন কোনোভাবেই তাদের (বিএনপি) ডাকে সাড়া দিচ্ছে না তখন তারা নানা ধরনের হুংকার দিচ্ছে। দেশ অচল করে দেবে, আবার মানুষ হত্যা করবে। এ ধরনের হুংকার-সন্ত্রাস মানুষ পছন্দ করে না। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য মানুষ তৈরি হয়ে গেছে।’