মিয়ানমারে ফেরত গেছেন ১৬৫ জন, বাকিরা যাবেন বিকালে

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ বাকিদের জাহাজে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। ১৬৫ জনকে নিয়ে একটি জাহাজ জেটি ছেড়ে গেছে। আরেকটি জাহাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি ১৬৫ জনকে তোলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রামু বিজিবি সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসেন কবিরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রত্যাবাসন কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি সর্বদা সতর্ক রয়েছে। কোনও রোহিঙ্গাকে আর অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে স্পিডবোটযোগে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নাউংয়ের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিজিপি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার উখিয়া ইনানী নৌবাহিনী ঘাটে আসে। তারা মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ের উপস্থিতিতে বিজিবির কাছ থেকে ৩৩০ সদস্যকে প্রত্যাবাসন করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক সফলতার জন্য সাংবাদিকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে, সকালে নৌবাহিনী জেটিঘাট দিয়ে তাদের হস্তান্তর করার জন্য বিজিপি সদস্যদের নৌবাহিনী জেটিঘাট এলাকায় আনা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় বান্দরবানের ঘুমধুম হাইস্কুলে থাকা ১৬০ বিজিপি সদস্যকে বিজিবির ৬টি বাস ইনানী ঘাটে নিয়ে আসে। সাড়ে ৮টার দিকে আরও ৬টি বাসযোগে টেকনাফ হ্নীলা হাইস্কুলে থাকা ১৬৬ জন বিজিপি সদস্যকে ঘাট এলাকায় আনা হয়। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও বিজিবি প্রধানের উপস্থিতিতে সকাল বেলা ১১টায় শুরু হয় হস্তান্তর প্রক্রিয়া। বিকালের মধ্যে সবাইকে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে জানান বিজিবি প্রধান।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর  ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বিজিবির অধীনে আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এদের অধিকাংশই মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য।