মিতু হত্যা মামলায় আরও পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও পাঁচ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। একই দিন আদালত বাবুল আক্তারের আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী বাবুল আক্তারের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেল কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন। 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া পাঁচ সাক্ষী হলেন চট্টগ্রাম সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ, পুলিশের পরিদর্শক হারুনুর রশিদ, এসআই রাছিব খাঁন ও আবদুল করিম এবং এএসআই নিজাম উদ্দিন। এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলায় বুধবার আরও পাঁচ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ১৩ মার্চ।’

বাবুল আক্তারের আইনজীবী কপিল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার এ মামলায় পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম বাবুল আক্তারকে যাতে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হয় এবং তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী বাবুল আক্তারের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিরকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এরপর তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিতু হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর পাল্টে যায় মিতু হত্যা মামলার গতিপথ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে বাবুল আক্তারই মিতু হত্যার মূল আসামি।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাত জনকে আসামি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।