কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে জামালপুর কাউন্সিলরের হাত-পা বাঁধা লাশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়নের গাংরা এলাকা থেকে বুধবার (২০ মার্চ) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিল। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত না হলেও পরে পুলিশ জানিয়েছে, এটি জামালপুর জেলার মেলান্দহ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবদুল মমিনের (৪৮) লাশ।

বুধবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।

তিনি বলেন, লাশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করে সিআইডি আমাদের জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি কাউন্সিলর মমিন। পরে খোঁজ নিয়ে আমরা জানতে পেরেছি মমিন মেলান্দহ পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের ইয়াদ আলী আকন্দের ছেলে। এরপর স্বজনদের এবং মেলান্দহ পৌর মেয়রকে ছবি দেখানোর পর শনাক্ত করেছেন তিনি আবদুল মমিন। তারা জামালপুর থেকে রওনা হয়েছেন। থানায় এসে লাশ দেখে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, কাউন্সিলর মমিন হলুদ, জিরা ও এলাচসহ বিভিন্ন মসলার ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক কাজে গত ১৫ মার্চ বাড়ি থেকে কক্সবাজারের চকরিয়ার উদ্দেশে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়।

এর আগে বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাংরা এলাকায় লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্তের কাজ শুরু করে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মমিনের ছেলে ফজলে রাব্বি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবা আমাকে কল করে বলেছিলেন, চকরিয়ার ছিরিঙ্গা বাজার থেকে একটি ট্রাকে হলুদ নিয়ে মেলান্দহের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এরপর থেকে বাবার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ফোন করে জানায়, বাবার লাশ মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়েছি।