সোনাইমুড়ী-চাটখিল থানায় হামলা ও আগুন, দুই পুলিশসহ নিহত ৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই পুলিশসহ পাঁচ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষের এসব ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হন। এরপর তারা সেখানে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন। ওই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন।

এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩৪ জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন বলেও জানা যায়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ৩৭ জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে মৃত আনা হয়। বর্তমানে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতদের বেশির ভাগই সোনাইমুড়ীর। 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্যের লাশ পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিল। এর মধ্যে চার জনকে পাওয়া গেছে। দুই পুলিশকে গলাকেটে হত্যা হয়েছে। ধোঁয়ায় ভবন ছেয়ে আছে। পুরো ভবন রিকভারি করার পর প্রকৃত বিষয়টি বোঝা যাবে।

তিনি আরও বলেন, শুনতেছি সাধারণ মানুষ তিন জন, কেউ বলতেছে দুই জন মারা গেছে। এখনো পুরো তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অপরদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে এক দল বিক্ষোভকারী আনন্দ মিছিল নিয়ে চাটখিল থানায় হামলা চালায়। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুট করা হয় থানায় থাকা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র।