তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগায় পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে একজনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের জাহাজে আগুন লাগার ঘটনায় একজন ক্রু মারা গেছেন। তার নাম সাদেক মিয়া (৬০)। তিনি কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট এলাকায় মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে। আগুন লাগার পর পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লে উদ্ধার করা যায়নি তাকে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে বিস্ফোরণের পর  আগুন লাগে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিদর্শন বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলার সৌরভ জাহাজে আগুন লাগার ঘটনায় একজন মারা গেছেন। জাহাজটিতে বিস্ফোরণে আগুন লাগার পর ওই জাহাজে থাকা ৫০ জন নাবিক-ক্রুদের মধ্যে ১২ জন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পানিতে ডুবে মারা যান।’

বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন, ‘জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। তাদের মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ফিশিং ট্রলার, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করেন। জাহাজটিতে আগুনে দগ্ধ সাদেক নামে একজন ক্রু মারা গেছেন।’

জানা গেছে, জাহাজটিতে অপরিশোধিত ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন তেল ছিল। যা পরিশোধন করার জন্য মাদার ভ্যাসেল জাহাজ থেকে খালাস করা হচ্ছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানায় ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ নামে তেলবাহী দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে তেল নিয়ে বন্দরে পৌঁছানোর কাজ করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে বন্দরের ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’-তে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এ ঘটনায় তিন জন মারা যান।