সরাইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তরুণ দলের কর্মীসভা ও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা সদরের অন্নদা স্কুলের সামনে সিএনজি স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা তরুণ দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মী সভায় জেলা তরুণ দলের সভাপতি আজিজুল রহমান হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলাল মিয়া ও তার ভাই পান্না বাগবিতণ্ডায় জরান। পরে তরুণ দলের কর্মীসভা স্থগিত করেন জেলা নেতৃবৃন্দ।

জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা নিয়ে উপজেলা সদরের সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম দুলাল মিয়ার সঙ্গে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুর আলমের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে দুই দল বিভক্ত হয়ে উপজেলা সদরের সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান। পরে তা উচালিয়াপাড়া মোড়ে এলাকায় সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরো উপজেলা সদরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা সদরে থাকা সাধারণ লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য সরাইল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নুরে আলম উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলালকে দায়ী করেন।

দুলাল এই ঘটনা সম্পর্কে তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তা জানি না।

ঘটনা সম্পর্কে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল হাসান জানান, তরুণ দলের কর্মীসভায় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাতের আঁধারে ঢিলাঢিলি হওয়ার কারণে কতজন আহত হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে ঢিলের আঘাতে ৮/১০ জন আহত হতে পারে।