কুমিল্লার মাধাইয়া বাজারে আগুন

কুমিল্লা চান্দিনার মাধাইয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের চান্দিনা, দাউদকান্দি ও কুমিল্লা স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর হঠাৎ বাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিসের চান্দিনা স্টেশনের দুই ইউনিট খবর পেয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। কিন্তু তারা একা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে নিকটের দাউদকান্দি স্টেশনকে কল দিলে সেখানকার দুই ইউনিট যুক্ত হয়। রাত ১২টা ২০ মিনিটে ওই চার ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে খবর আসে কুমিল্লা স্টেশনে। পরে সেখানকার দুটি ইউনিট তাৎক্ষণিক ছেড়ে যায় স্টেশন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া মাধাইয়া বাজারে আগুন লাগায় জনতার ছোটাছুটি ও ব্যবসায়ীদের মালামাল সড়কে রাখায় বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়ক। তাই মাঝপথেই যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক কিলোমিটার যানজটে আটকে যায় সব পরিবহন। আটকে যায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও। এতে ফায়ার সার্ভিসের কুমিল্লা স্টেশনের গাড়ি দুটিও আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্বে যুক্ত হয়। 

মাধাইয়া বাজারের ব্যবসায়ী মো. সজীব হোসেন বলেন, এখানে বিভিন্ন রকমের ছোট বড় দোকান ছিল। শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার অবস্থা। কেউ কিছুই বের করতে পারেনি। দোকানের সবকিছু আগুন পুড়তে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। দেখা ছাড়া তাদের কিছুই করার ছিল না। সহায় সম্বল হারিয়ে এখন পুড়ে যাও দোকানের পাশে বসে কান্না করছেন তারা।

আগুনে বাজারের শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে

তিনি বলেন, রাস্তার দুই পাশে তীব্র যানজট। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলেও কাজ করতে পারছিল না। আমাদের সামনেও সব শেষ হয়ে গেলো। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের ছয়টি ইউনিট কাজ করেছে। প্রথমে চান্দিনা ও দাউদকান্দি যুক্ত হয়, পরে কুমিল্লাও। কিন্তু কুমিল্লা স্টেশনের গাড়ি রাস্তায় যানজটে পড়ে। এতে কিছু সময় বিলম্ব হয়। কারণ দুই পাশেই যানজট লেগেছে। তবে কর্মীরা কাজ করছেন। যানজট না হলে আরও দ্রুত পৌঁছানো যেতো। আর কাজেও দ্রুত হাত দেওয়া যেতো। 

তিনি বলেন, এখনও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। সবগুলোই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। তবে এখনও কোনও নিহত বা আহতের খবর পাওয়া যায়নি।