দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কাপাসিয়া উপজেলার ভিটিরটেক এলাকার আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশন আরা। এছাড়াও মামলা চলাকালে দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী গাজীপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মকবুল হোসেন কাজল জানান, কাপাসিয়া উপজেলার ভিটিরটেক এলাকায় জমির আইল কাটা নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারি দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনের সঙ্গে দুই ভাই আফসার উদ্দিন ও মাঈনুদ্দিন এবং তাদের স্ত্রী রওশন আরা ও স্ত্রী জরিনা খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়।একপর্যায়ে মাঈনুদ্দিন ও তার স্ত্রী জরিনা ভাই সফিউদ্দিনকে দা দিয়ে ও ভাবি রহিমা খাতুনকে কোদাল দিয়ে আঘাত করলে তারা গুরুতর জখম হন। তাদের প্রথমে নরসিংদীর মনোহরদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছর ৩০ জানুয়ারি রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফাইজুদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় আফসার উদ্দিন, মাঈনুদ্দিন, রওশনা আরা ও জরিনাকে আসামি করা হয়। পরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হয়। কাপাসিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ ১৯৯৮ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ২০১১ সালে মাঈনুদ্দিন ও তার স্ত্রী জরিনা মারা যাওয়ায় তাদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি আফসার উদ্দিন ও তার স্ত্রী রওশন আরা উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হাফিজ উল্লাহ দর্জি ও আলেয়া আক্তার।
/বিটি/
আরও পড়ুন: