র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতাব্বর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, রাহুল (১৭), মনির হোসেন (২৮) ও আলমগীর হোসেন (১৬)। আটককৃত অপর দুই জন হচ্ছে, মহসিন (২৪), মারুফ হোসেন (২৩)।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত আমান টঙ্গির আদি কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন। শুক্রবার সকালে গাজীপুর থেকে বিআরটিসির একটি বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। টুঙ্গি এলাকায় এসে পৌঁছালে তাকে বাসের ভেতর থেকে স্প্রে করে অচেতন করার পর অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় নিয়ে এসে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর জামগড়ার রুপায়ন আবাসন এলাকা নিয়ে যায়। আবার সন্ধ্যার দিকে অপহরণকারীরা তাকে রুপায়ন এলাকা থেকে সরিয়ে জামগড়ার আব্দুল সাত্তারের বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই সময়ে অপহরকারীরা আমানের পরিবারের কাছে মুঠোফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে অপহৃতের পরিবার তাদের বিকাশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা দেয়। এরপর অপহৃতের পরিবার বিষয়টি র্যাবকে জানালে, র্যাব ১০ এর একটি দল মোবাইল ফোন ট্রাঙ্কিয়ের মাধ্যমে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবরে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরকারীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় চার অপহরণকারী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ চার জনসহ ৬জনকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-১০ এর কমান্ডায়িং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতাব্বর বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন ট্রাঙ্কিয়েংর মাধ্যমে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।
/এমডিপি/