রাজধানী থেকে গ্রেফতার নব্য জেএমবি’র দুই সদস্যের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

র‌্যাবের হাতে আটক নব্য জেএমবির দুই সদস্য

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের দুই সদস্য রুহুলুল্লাহ আতিক ওরফে নুরুল উল্লাহ এবং হামদান বিন ফিরোজের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার দুপুরে র‌্যাব তাদের দুইজনকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

র‌্যাব জানায়, শনিবার মধ্যরাতে  রাজধানীর আবদুল্লাহপুর ও শনির আখড়া থেকে তাদের দুই জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেমএমবি’র সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সামরিক শাখার সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তারা দুই জনই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি।

গ্রেফতারকৃত রুহুলুল্লাহ আতিক ওরফে নুরুল উল্লাহর বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর গ্রামে এবং হামদান বিন ফিরোজের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ রবিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার মধ্য রাতে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে প্রথমে রুহুলুল্লাহ আতিক ওরফে নুরুল উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে শনির আখড়া এলাকা থেকে হামদান বিন ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রুহুলুল্লাহ আতিক ওরফে নুরুল উল্লাহ ২০১৩ সাল থেকে এবং হামদান বিন ফিরোজ ২০১৫ সাল থেকে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানায়। তাদের দুইজনের মধ্যে রুহুলুল্লাহ আতিক ওরফে নুরুল উল্লাহর পরিবারের কমপক্ষে আটজন জেএমবির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে। গত বছর রাজধানীর কল্যানপুরে জঙ্গি অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির একজন আবদুল হাকীম তার ভায়রা ছিল। অপর ভায়রা সায়েদ আরিফ বর্তমানে জেএমবির দাওয়াতী শাখার আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। রুহুলুল্লাহ আতিকের বড় ভাই আবু সাঈদ আফগান ফেরত যোদ্ধা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার জামাতা আবু রায়হান ওরফে রবিন এবং ভাগ্নি জামাই মাহমুদুর রহমান মিশু জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সম্প্রতি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। রুহুলুল্লাহ আতিকের দুই শ্যালক আবদুল মান্নান ও আবদুল গাফফার জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়ে চট্টগ্রাম ও কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। র‌্যাবের ধারণা, তার পরিবারের আরও অনেক সদস্য জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহসহ জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়তে পারেন: ওএমএসের আতপ চালে পোকা: বিপাকে ডিলাররা