মুন্সীগঞ্জে জেলেদের হামলায় তিন মৎস্য কর্মকর্তা আহত

ইলিশ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞাপদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং অংশে অভিযান চালাতে গিয়ে জেলেদের হামলায় তিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। মা ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. রাজিব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২০০ জেলেকে আসামি করে লৌহজং থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

জেলেদের হামলায় আহতরা হলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল মোল্লা। তাদের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। 

সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মাওয়া কোস্টগার্ড ও লৌহজং পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে পদ্মা নদীতে অভিযান শুরু করি। এ সময় পদ্মা নদীর একটি চরে আমরা ট্রলার থামিয়ে জেলেদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালাই। মা ইলিশসহ ১০-১৫ জন জেলে সেখানে অবস্থান করছিল। মা ইলিশ ও জেলেদের আটকের প্রস্তুতিকালে আশপাশ থেকে শতাধিক জেলে চড়াও হতে থাকে। একপর্যায়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাথায় আঘাত এবং ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে জেলেরা। এ সময় আমি ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল মোল্লা পায়ে ও পিঠে আঘাত পাই। পুলিশ সদস্যরা ফায়ার করলে জেলেরা পিছুপা হয় এবং আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শরোজিৎ কুমার ঘোষ জানান, এই ঘটনায় লৌহজং থানা পুলিশের আট সদস্য আট রাউন্ড এবং মাওয়া নৌ-পুলিশের চার সদস্য চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

আরও পড়ুন:
নারী শিক্ষার উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান অগ্রগণ্য: এমপি নাবিল