নববধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ: এখনও অধরা আসামিরা

নরসিংদীনরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় এক নববধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার (২০ মার্চ)। এই ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন পরদিন গত বুধবার (২১ মার্চ)। তবে এখনও আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার দিনগত রাতে রায়পুরার ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও নববধুর পরিবার জানায়, গত ১৪ মার্চ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এই দম্পতির বিয়ে হয়। ঘটনার দিন ২০ মার্চ রাতে ওই দম্পতি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত প্রায় ২টার দিকে স্থানীয় ফারুক ওরফে ইয়াবা ফারুক এর নেতৃত্বে অলি মিয়া, স্বপন, আলম ও আনোয়ারসহ প্রায় ৭/৮ জনের একটি দল তাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে। এসময় তারা ওই নবদম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে নববধূকে তুলে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখায়।

টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা উত্তেজিত হয়ে নবদম্পতির ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভয়ে ১০হাজার টাকা দিলেও তারা ওই নববধূকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং বাকি ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলে স্ত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়ে চলে যায়। ওই নববধুকে প্রথমে স্থানীয় ফারুকের বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়। পরে ভোরে তাকে স্থানীয় ডৌকারচর ই্উনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে যায় তারা। সেখানে নেওয়ার পর তাদের সঙ্গে থাকা অলি মিয়া নববধূকে ধর্ষণ করে।

স্বামী রাতে তার স্ত্রীকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে পুলিশ ২১ মার্চ বুধবার দুপুরের দিকে ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ থেকে নববধূকে উদ্ধার করেন এবং তাকে রায়পুরা থানার নারী সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়। পরে রাতে নববধুর স্বামী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দোলোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার নববধুর ডাক্তারি পরীক্ষা নরসিংদী সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ডৌকাচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনের ভাই ও তার সাঙ্গপাঙ্গরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তারা গ্রেফতার এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে চেয়ারম্যান লোকমান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে উল্টো দাবি করেন তিনি।