নিহত সুলতান গুরুই পালপাড়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুলতান মিয়া রংধনু সঞ্চয় ও সমবায় সমিতির পরিচালক ছিলেন। তিনি ছাতিরচর ও গুরুই এলাকায় দুটি অফিস স্থাপন করে তার সংস্থার ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। রবিবার তিনি চার লাখ টাকা নিয়ে ছাতিরচর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে এ অফিসের ম্যানেজার হিজবুল্লাহকে পাওয়া যাচ্ছে না। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুলতান বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় তার স্ত্রী এলাকার কয়েকজন লোক নিয়ে নিয়ে ছাতিরচর গিয়ে ম্যানেজার হিজবুল্লাহকে আর পাননি। পরে অফিসের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেন তারা। সেখানে চৌকির নিচে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি বস্তা দেখতে পান। ওই বস্তার মধ্যেই পাওয়া যায় সুলতানের মরদেহ পাওয়া যায়। লাশের গলায় একটি গামছা পেঁচানো ছিল। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে সুলতানকে। তার টাকাগুলোও পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সুলতানের বড় ভাইয়ের ছেলে রেজাউল কবির বাদী হয়ে হিজবুল্লাহকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন হিজবুল্লাহকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।