মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় আ.লীগ নেতার দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযৈাগ উঠেছে।  শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে মঙ্গলেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের ওপর এ হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কোববানপুর গ্রামের রাসেল দীর্ঘদিন ধরে ২০-২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট করে মঙ্গলেরগাঁও, কোবরানপুর, দুধঘাটা, পাঁচানি, শান্তিনগর এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ওই এলাকায় যুব সমাজ মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গত এক মাস আগে শান্তি নগর এলাকায় রাসেল ও তার সহযোগী আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে লুৎফুরকে মাদক দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন এ বিষয়ে আব্দুর রহিমকে শাসায়। পরবর্তীতে আব্দুর রহিম একা পেয়ে লুৎফরকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এতে রাসেল ও তার সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাসেলের নেতৃত্বে ১০-১ ২জনের একটি দল শান্তিনগর এলাকায় রুহুল আমিনকে পিটিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয় দফায় রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়, কমল, সোলায়মান, আব্দুর রহিম, নুরুদ্দিন, ইমরানসহ অর্ধশতাধিক হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে মঙ্গলেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রুহুল আমিনকে পিস্তল ঠেকিয়ে হামলা করে দুই পা ভেঙে দেয়।
আওয়ামী লীগ নেতার ভাই নাজির আহম্মেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী গিট্টু হৃদয়ের প্রভাব খাটিয়ে কোরবানপুর গ্রামের রাসেল মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বাধা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে পিস্তল ঠেকিয়ে তার ভাইকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শীর্ষ সন্ত্রাসী গিট্টুর হৃদয় রাসেলের আত্মীয় হওয়ার কারণে তার প্রভাবে সে এলাকায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় রাসেল বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদকের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। পূর্ব শত্রুতার কারণে তার এক বন্ধুকে পিটিয়ে আহত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম বলেন, ঘটনার খবর শুনেছি। এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।