গোপালগঞ্জে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে আজও সড়ক অবরোধ

01উপজেলা নির্বাচনের ঘোষিত ফল বাতিল করে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করেছে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, আজ সকাল থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত দুই চেয়াম্যান প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন দিপু ও এস এম শাহ আলমের সমর্থকরা সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ শুরু করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ৫০ রাউন্ডেরও বেশি টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে পরাজিত দুই চেয়াম্যান প্রার্থী মাহমুদ হোসেন ও শাহ আলম সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। এরপর থেকে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকরা গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে গাছ কেটে সড়কে ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এতে ওই দুই সড়কে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার রাত থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের বৌলতলী, কংশুর এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কাঠি ও মাঝিগাতী নামক স্থানে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকরা শতাধিক গাছ কেটে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। সড়কের গাছ সরানো হয়েছে।দুই সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।’

উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু ৩৭ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন দিপু ৩৭ হাজার ৬২০ ভোট পেয়েছেন । অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৯৪ ভোট।