দখল হয়ে যাচ্ছে পাউবোর শতকোটি টাকার সম্পত্তি

দখল হয়ে যাচ্ছে পাউবোর শতকোটি টাকার সম্পত্তি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তালতলা থেকে কুমারিয়া বাজার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় শত কোটি টাকার জায়গা অবৈধ দখলে চলে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব সরকারি জায়গা দখল করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময় দখলসত্ত্ব হস্তান্তর করছে।

কাশিয়ানীর বলুগা তেঁতুলিয়া খালের পশ্চিমপাড়ের অধিকাংশ জায়গা দখলে করে বসত-বাড়ি, দোকান-পাট, পুকুর, মসজিদ, পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছে স্থানীয়রা। আবার অনেকে বালু-মাটি দিয়ে ভরাট করে রাতারাতি বহুতল পাকা ভবনও গড়ে তুলছে। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও এসব সম্পত্তি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনও উদ্যোগ নেই। সরেজমিনে উপজেলার তালতলা সড়ক ধরে এগোতেই চোখে পড়ে দুবছর আগে যেসব জায়গায় কোনও জনবসতি ছিল না। সেখানে শত শত ঘর-বাড়ি, পাকা স্থাপনা, মসজিদ-মাদ্রাসার সাইন বোর্ড টাঙিয়ে যে যার মতো করে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এভাবে ওইসব এলাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে স্থানীয়রা।

এদিকে, উপজেলার রামদিয়া বাজার থেকে ধীরাইল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বসত বাড়ি, বহুতল ভবন, আরসিসি পিলার দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে দখলে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। উপজেলার ওড়াকান্দি এলাকায় পাউবোর জায়গায় মাটি ফেলে ভরাট করে কারখানা নির্মাণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় পাবুল শিকদার।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান সিরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দখলকারী পাবুল শিকদার বলেন, সবাই সরকারি জায়গা দখল করে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট করেছে। আমি করলে সমস্যা কী ? সরকার যখন জায়গা ছেড়ে দিতে বলবে, আমি জায়গা ছেড়ে দেব।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগিরই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।