লাশ দাফনের দু'দিন পর জানা গেলো করোনায় আক্রান্ত ছিলেন

করোনাভাইরাসসিরাজদিখানের একটি মাদ্রাসার সাবেক মাদ্রাসা প্রধান লাশ দাফনের দু’দিন পর জানা গেলো তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কুর্মিটোলা কিংবা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। পরে গোপনে মুন্সীগঞ্জে এনে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় আটটি বাড়ি শুক্রবার (১০ এপ্রিল) লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

নিহত ব্যক্তির বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী এলাকায়। তিনি ঢাকার ভাড়া বসায় থাকতেন।
সিভিল সার্জন  আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার ঢাকায় মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরে দাফন করা হয় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়। মারা যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।  জানাজায় যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বাড়িগুলো লকডাউন করা হচ্ছে। দাফনের সময় যারা ছিলেন তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুনাহার জানান, ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা, মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তিনি পুরান ঢাকায় থাকতেন। সেখানেও লকডাউন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে তার ভাইয়ের বাসা যেখানে লাশ আনা হয়েছিল, প্রতিবেশীদের বাসা, যারা লাশ দাফন করেছেন,কবরের সামনে যারা ছিলেন তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আজ দু’টি ওয়ার্ডের ৮টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, আত্নীয়-স্বজনসহ যারা জানাজাতে ছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে।