চকোলেট দেওয়ার কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ, হত্যার পর লাশ ফেলে দেয় ময়লার স্তূপে

ধর্ষণের অভিযোগে আটক নিলয়



চকোলেট দেওয়ার কথা বলে সাত বছরের একটি শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরে। এ অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে র‌্যাব-১। সোমবার (১৮ মে) র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আটককৃত নিলয় (১৫) কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। তারা গাজীপুরের টঙ্গীর বেলতলা মসজিদ রোডে ভাড়া বাড়িতে থাকতো।
লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৬ মে গাজীপুর মহানগরীর মধুমিতা রেলগেট এলাকার ময়লার স্তূপ থেকে মামুন মিয়ার মেয়ে চাদনীর (৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার গলায় ও দুই পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এ বিষয়ে চাদনীর বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার ভোররাতে রেলস্টেশন এলাকা থেকে নিলয়কে আটক করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তার বিফ্রিং
তিনি জানান, নিলয় চুরি, ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। সে ও তার সহযোগীরা মিলে টঙ্গী রেলস্টেশন এবং তার আশপাশের এলাকায় নিয়মিত চুরি ছিনতাই করতো।
জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় জানায়, ১৫ মে বিকালে চাদনী তার বাসার পাশের মাঠে খেলছিল। এসময় নিলয় ও তার এক সহযোগী তাকে চোখে চোখে রাখে। এর মধ্যে শিশুটিকে কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে ফুল পেড়ে দেয় নিলয়। খেলা শেষে চাদনী বাসায় ফিরছিল। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আশেপাশে লোক সমাগম কম থাকার সুযোগে নিলয় ও  তার সহযোগী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে টঙ্গীর মধুমিতা রেলগেট এলাকায় সজীবের ইটের স্তূপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে তারা চাদনীকে ধর্ষণ করে। এরপর সে কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শিশুটির জ্ঞান ফিরলে সবাইকে বলে দেবে ভেবে নিলয় ও তার সহযোগী তাকে গলাটিপে ও দু’পায়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর লাশ ময়লার স্তূপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে আটক করতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।