জেল থেকে কয়েদি পালানোর ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারগাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আবু বকর সিদ্দিক (৩৪) নামে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় লকআপের পর থেকে শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে কারাগারে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এজাহারটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। কারাসূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

পালিয়ে যাওয়া কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আদা চণ্ডীপুর গ্রামের তেছের আলী গাইনের ছেলে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) এর কোনাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম থানায় দায়ের করা এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, কারাগার-২ এর জেলার মো. বাহারুল ইসলাম কোনাবাড়ী থানায় একজন কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের পর থেকে শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওই কয়েদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এএসআই আরও জানান, আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের মার্চে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ১৭) রুজু করা হয়। ওই কয়েদিকে ফাঁসির আসামি হিসেবে ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সাজা সংশোধন করে ২০১২ সালের ২৭ জুলাই আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

কারা সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছিল ওই কয়েদি কারাগারের কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে। কারণ, এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও সে আত্মগোপন করেছিলেন। তখন সে সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিল। পরদিন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কারাগারের ভেতরে কোথাও তার খোঁজ মেলেনি। সে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে।