২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভালো একটি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার চান ২০১৮ সালে হাইকোর্টে কোটা সংস্কারের দাবিতে রিটকারীদের নেতা ও কোটা সংস্কারের পক্ষে প্রত্রিকায় রিপোর্ট করে আলোচিত সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কাছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাশা করি।’
আবদুল অদুদ বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কোটা সংস্কার আন্দোলন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নারী শিক্ষার্থী ও ইসলামি সংগঠনসহ যোগ্য ও দক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়োগ দিয়ে বঞ্চনা কমানো সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।’
৫৬% কোটার কারণে তিনি বিসিএসে বঞ্চিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন কোটার কারণে বঞ্চিত না হয়, সেজন্যই আমরা রিট করেছিলাম। আর সেটার রেশ ধরেই এত বড় পরিবর্তন এসেছে। সেজন্য কোটা আন্দোলনের ৬ বছরে যারা অবর্ণনীয় জুলুমের শিকার হয়েছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে জেল জুলুমের তোয়াক্কা না করে কোটা সংস্কারের পক্ষে ব্যাপক লেখালেখি করি। অনেক রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছি। আমরা কিছু পাই বা না পাই, দেশটা সুন্দরভাবে চললে আমরা মানসিক প্রশান্তি পাবো।’
আবদুল অদুদ জানান, তাকে নির্বাচন কমিশনার করার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সুপারিশ করলেও বয়সের কারণে সেটা হয়নি। তার প্রশ্ন, যে দেশে প্রেসিডেন্ট হতে বয়স লাগে ৩৫, প্রধানমন্ত্রী হতে ২৫, সেদেশে নির্বাচন কমিশনার হতে কেন বয়স ৫০ লাগবে?
আবদুল অদুদ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য (সাবেক ডেপুটি ইউনিট চিফ), ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের দুবার নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য ও কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম অব ঢাকার নির্বাচিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।