স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে কারারক্ষী আটক

অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের সরকারি কোয়ার্টারে স্ত্রী রুমা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে কারারক্ষী মো. খাইরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) কটিয়াদী উপজেলার পশ্চিম মণ্ডল ভোগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে রুমা আক্তারের মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, কারারক্ষী খাইরুল ইসলামের নির্যাতনের শিকার হয়ে স্ত্রী রুমা আক্তার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে প্রথমে তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে  বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রুমা আক্তারের মা ছিনু বেগম জানান, প্রায় দেড় বছর আগে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের কারারক্ষী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে খাইরুল ইসলামের সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই খাইরুলের পরিবার থেকে যৌতুকের টাকার জন্য রুমাকে চাপ দেওয়া হতো। এমন পরিস্থিতিতে খাইরুলের কাছে আমরা যৌতুক হিসেবে নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার তুলে দেই। কিন্তু কিছুদিন পর আরও টাকার জন্য রুমার ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে খায়রুল। অসুস্থ অবস্থায় রুমা ফোন করে জানায়, তাকে তার স্বামী অনেক মেরেছে। তারপর ছিনু বেগম কিশোরগঞ্জ এসে রুমাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় রুমা আক্তারের মায়ের অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত কারারক্ষীকে কটিয়াদী মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে।                       

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ জানান, খাইরুল ইসলাম অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে ছিল। তবে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। তার গ্রেফতার ও মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে।