‘সরকারি আমলারা জনপ্রতিনিধিদের শাসন মেনে নিতে পারছে না’

আমলাদের বাধার কারণে উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তাদের দাবি, সরকারি আমলারা স্থানীয় প্রশাসনে জনপ্রতিনিধিদের শাসন মেনে নিতে পারছে না। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এ অভিযোগ করেন।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানরা ২০১০ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে গেজেটকৃত উপজেলার ১৭টি প্রশাসনিক কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে পরিচালনার দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় এ দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস ও চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজাদ বিশ্বাস, রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান ভূইয়া, আড়াইহাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, আড়াইহাজারের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, বন্দরের সানাউল্লাহ সানু ও সালিমা হোসেন শান্ত, রূপগঞ্জের ফেরদৌসি আলম নীলা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, আড়াইহাজারের ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না বেগম, সোনারগাঁয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আক্তার ফেন্সি প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যানরা বলেন, ১৯৯৮ সালে আইন প্রবর্তন করে ২০০৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ প্রবর্তন করা হয়। যা আরও কার্যকর করতে ২০১১ সালে উপজেলা পরিষদ আইনকে সংশোধন করা হয়। তৃতীয় তফসিলের মাধ্যমে উপজেলার ১৭টি বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের কার্যাবলী উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ হস্তান্তরের পরে প্রায় এক যুগ চলে গেলেও এ ১৭টি বিভাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বেই চলছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সকল নির্দেশ উপেক্ষা করে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় এসব বিভাগের জন্য আলাদা পরিপত্র জারি করে এগুলি ইউএনও’র দায়িত্বেই রেখেছেন। এসব পরিপত্র ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো উপজেলা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। পাকিস্তানিরা যেমন বাঙালির শাসন মেনে নিতে পারেনি তেমনি সরকারি আমলারা স্থানীয় প্রশাসনে জনপ্রতিনিধিদের শাসন মেনে নিতে পারছে না।