কান্না চোখে স্বজনের খোঁজ (ফটো স্টোরি)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকালে সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই কারখানার পাঁচ তলা ভবনে তখন প্রায় চারশ’র বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটা ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। এখনও পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর সোয়া একটা পর থেকে কারখানার ভেতরে থেকে লাশ বের করে আনতে থাকেন উদ্ধারকর্মীরা। এসময় গতকাল থেকে কারখানার সামনে অপেক্ষারত স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। 

কারখানায় আগুনের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩ জনের নাম-পরিচয় পেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরআগে, আগুনে নিহত তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বমোট ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবিতে দেখুন পুরো ঘটনা...

প্রিয়জন হারিয়ে স্বজনদের আহাজারি

ছবি দেখিয়ে প্রিয়জনদের খোঁজ করছেন স্বজনরা

কারখানার সামনে স্বজনদের ভিড়

কারখানার সামনে স্বজনদের ভিড়

কারখানার ভেতর থেকে লাশ বের করে আনা হচ্ছে

ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে ওঠানো হয়েছে শ্রমিকদের লাশ

আগুনে পুড়েছে কারখানার সবকিছু

পুড়ে যাওয়া ভবন যেন স্বজন হারানোর কালো গহ্বর

আগুনে পুড়েছে পণ্যের প্যাকেজিং সামগ্রী

 

আরও পড়ুন:

ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে ৪৯ লাশ 

আগুনে পোড়া লাশের সারি, স্বজনদের আহাজারি

দীর্ঘ সময়েও আগুন নেভাতে না পারায় স্থানীয়দের হামলা

যে কারণে দীর্ঘ সময়েও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জুস ফ্যাক্টরির আগুন

১৭ ঘণ্টায় নেভেনি জুস কারখানার আগুন, নিহত ৩

নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি

রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন, হাতিয়ার ৩ শ্রমিক নিখোঁজ

কারখানার সামনে মেয়ের জন্য মায়ের আহাজারি

নারায়ণগঞ্জে আগুনে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক