শিমুলিয়া ঘাটে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে পারাপার

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশব্যাপী ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন আজ। তবে বিধি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল হতে এই রুটের ফেরিগুলোতে শত শত যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে দেখা যায়। তবে আগের চেয়ে আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে।

এদিকে নৌ রুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও লকডাউন বাস্তবায়নে ঘাট অভিমুখে ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের কোনও নজরদারি বা চেকপোস্ট লক্ষ্য করা যায়নি। এতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শত শত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছে। জরুরি ও বিধিনিষেধ আওতার বাইরে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও, অবাধে পারাপার হচ্ছে সবাই।

আগের চেয়ে আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমেছে

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নৌ রুটে বর্তমানে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। বিধি আরোপের সময়ের আগে ঘাটে আসা যাত্রী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে চাপ কম। কোনও যানবাহন ঘাটে অপেক্ষায় নেই। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সোলেমান জানান, বৃহস্পতিবার (২২ জুলােই) রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের পর বন্ধ করা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী আজ আর লঞ্চ চলেনি। লঞ্চঘাটে যাত্রীও নেই। ঘাটে যেসব যাত্রীরা আসছে তারা ফেরিতে পার হচ্ছে।