শরীয়তপুরে প্লাবিত ২০ গ্রাম, পদ্মা পাড়ে আতঙ্ক

শরীয়তপুরে সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল ও নদী পাড়ের বাসিন্দারা। 

শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানান, পদ্মার পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট পদ্মা নদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়ার কিছু নিচু এলাকায় তীর উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে কীর্তিনাশা নদীতেও পানি বেড়েছে।

আতঙ্কে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে নদী তীরের বাসিন্দারা

পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোত বেড়েছে নদীতে। স্রোতে জাজিরার পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ও কীর্তিনাশার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামের খাল, ডোবা ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ভাঙন রোধে জাজিরার ৩৭টি স্থানে, নড়িয়ার ১২টি, ভেদরগঞ্জের ২২টি, গোসাইরহাটের ১৪টি ও সদর উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর ১৫টি স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।

বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে পদ্মার পানি

শরীয়তপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আজিম উদ্দিন জানান, আমরা নিয়মিত পানি ও নদী ভাঙন এলাকার মানুুষের খোঁজ-খবর রাখছি। ভাঙনকবলিত এলাকার প্রত্যেক পরিবারকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন দেওয়া হবে। আমাদের কাছে ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।