মেয়র জাহাঙ্গীরের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে সড়কে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ব্যারিকেড

ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করায় সড়কে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকরা। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর-বনমালা আঞ্চলিক সড়কে ভুক্তভোগীরা এ ব্যারিকেড দেন। এ সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।

ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৬-৭ মাস আগে জমির মালিকদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই বাড়ি-ঘর ভেঙে ৪০ ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তা নির্মাণ করেন। নির্মাণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা বাধা সৃষ্টি করলে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা কয়েক দফায় মেয়রের কাছে যান। প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তারা।

মেয়রের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবিতে মঙ্গলবার এলাকাবাসী সকাল ১০টায় বনমালা রোডে জড়ো হন। তারা রাস্তার একটি অংশে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন এবং বিক্ষোভ করতে থাকেন। বিক্ষোভের খবর পেয়ে গাজীপুরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসিবুল আলম দুপুর ২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকবাসীকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেন।

বনমালা এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, সড়ক নির্মাণের কথা বলে আমার ৫০ ফুট জায়গা দখল করেছেন মেয়র। এতে আমার ১০টি কক্ষ ভাঙতে হয়েছে। এখন মেরামতও করা যাচ্ছে না। তাই অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকি।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা মিয়া বলেন, গত জুন মাসে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের তত্ত্বাবধানে বনমালা রাস্তাটি গাজীপুরের সঙ্গে টঙ্গীর সড়ক যোগাযোগ রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়। তবে সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের কোনও নিয়ম মানা হয়নি। সড়ক নির্মাণে অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙতে হয়েছে। রাস্তার জন্য আমার তিন কাঠা জমি নেওয়া হয়। মেয়রের লোকজন জমির কাগজপত্র নিলেও ৯০ লাখ টাকা মূল্যের জমির দাম মেয়র দিয়েছেন এক লাখ টাকা। এখন মেয়র যদি পদ হারান, তবে কে দেবে ক্ষতিপূরণ। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসিবুল আলম বলেন, এলাকাবাসী জমির ক্ষতিপূরণের জন্য রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ব্যারিকেড দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের লিখিতভাবে বিষয়টি সিটি মেয়র ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।