কিশোরগঞ্জে নির্বাচনি সহিংসতায় আহত যুবকের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন (৩৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। কুলিয়ারচর পশ্চিম গোবরিয়া এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে দেলোয়ার।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছিল। দুপুরে কুলিয়ারচর গোবরিয়া আবদুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের মোটরসাইকেল সমর্থকদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থী এনামুল হক আবু বক্করের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় চার জন গুলিবিদ্ধ হয়। তারা হলেন- রানা (৩৫), আনোয়ার (২৮) ও সাব্বির (১৭)। আনোয়ার দেলোয়ারের ভাই।

তাদেরকে প্রথমে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় দেলোয়ারকে। সেখান থেকে নেওয়া হয় হেলথ কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা জোর করে কেন্দ্র দখল করতে চাইলে তার কর্মী-সমর্থকরা বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় তার চার কর্মীর মাথায় গুলি লাগে। তাদের মধ্যে দেলোয়ার আজ মারা গেছেন। বাকি তিন জন চিকিৎসাধীন।

জেলা পুলিশ সুপার ও কুলিয়ারচর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়। দেলোয়ার পুলিশের গুলিতে আহত হয়নি। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষেই সে আহত হয়েছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।