আইভীর মতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তৈমুরের অভিযোগ হস্তক্ষেপ হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই দৌড়ঝাঁপ বাড়ছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের। এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে এ নির্বাচনের প্রচারণায় যোগ করছে বাড়তি মাত্রা।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার ভোটাররা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, তারা কাকে ভোট দেবে। আমি বলিনি, শামীম ওসমানের সমর্থন আমার দরকার নেই। আমি বলেছি, আমার ভোটাররা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা কাকে ভোট দেবে। দল যখন আমাকে নমিনেশন দিয়েছে, আমার দলের লোকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নৌকার পক্ষেই থাকবে। এর মধ্যে দুয়েকজন ব্যতিক্রম হলে আলাদা বিষয়ে।’

আইভী বলেন, ‘ভোটারদের কাছে এটা অপরিহার্য নয় যে, কে সমর্থন দিল কে দিলো না। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হয়তো এটাকে গুরুত্ব দেবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ, আমার মা-বোনদের কাছে এসব মাথাব্যথা নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘তিনিতো (তৈমুর) গডফাদারের কোলে গিয়ে বসে আছেন। তিনি গডফাদারের বাইরের কেউ না। গডমাদারটা তিনি যে আমাকে বলেছেন, এটা খারাপ কাজ করেছেন। তাকে আমি এ ধরনের কথা বলিনি। তিনি তার কাছে আশ্রয় নিয়েছে, এটাই বলেছি। তিনি যদি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় না দাঁড়াতেন তাহলে এ চেয়ারম্যানরা তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতো না।’

অপরদিকে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার আজ সকাল থেকে সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মদনপুর থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সমর্থক ও যারা নৌকার পক্ষে নামেনি তাদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে। নৌকার পক্ষে ভোটে কাজ করার জন্য বলছে। এভাবে সরকারি হস্তক্ষেপ হচ্ছে। আমি চাই, নির্বাচনে যেন জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটে।’

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে কে গডফাদার কে গডফাদার না, কে উইনেবল (জেতার মতো) ক্যান্ডিডেট কে উইনেবল না, সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। ২০১১ সালে আমি বসে যাওয়ার পর আইভী জিতেছিলেন। তিনি কিন্তু বিদ্রোহী হিসেবে জিতেছেন। বিএনপির সময় আমরা যে ক্যান্ডিডেট দিয়েছিলাম তিনিও জয়ী হওয়ার প্রার্থী ছিলেন।’