গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত, শান্তিপূর্ণ হবে নারায়ণগঞ্জের ভোট: ডিসি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের অভিযোগের বিষয়ে মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত, ফোনে বা অন্য কোনও মাধ্যমে অভিযোগ পাইনি। আমরা নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্ক করছি। দাগি আসামিদের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা ভোটের সব সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৯টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। আগামীকাল আরও ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৩৯টি টিম কাজ করবে। আমাদের পুলিশের ৭৬ ও র‍্যাবের ৬৫টি টিম মাঠে থাকবে। বিজিবির ১৪টি দল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আগামীকাল বিজিবির আরও ৬টিসহ মোট ২০টি টিম কাজ করবে। এর বাইরে আমাদের আরও ৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। কেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং বিজিবি কাজ থাকবে। আমাদের পুলিশ সুপার এবং র‌্যাব কর্মকর্তারাও আছেন। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের জন্য যারা হুমকি হতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ২০০ মামলা করেছি। একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছি।’

বহিরাগতদের অবস্থান নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের কথা জানি না- সেটা সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এ ছাড়া কোনও সরকারি বাসস্থানে প্রশাসনের লোক ছাড়া কাউকে স্থান দেওয়া হয়নি। আমরা সব সেন্টারকে গুরুত্বসহকারে দেখছি। সবাই নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দিতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সুরক্ষাসামগ্রী থাকবে। আমরা সে বিষয়ে সচেতন আছি। আমরা প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাবো, সবাইকে সচেতন করার। এতদিন সবাই শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। আশা করি, ভোটের দিনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন।’

র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য সর্বত্র চেষ্টা রয়েছে। যারা ভোটার আছেন তারা যেন নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে তার সর্বত্র চেষ্টা রয়েছে। শুধু আমরা ভোট কেন্দ্রকেই টার্গেট করছি না। আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, এলাকা ও একজন ভোটার যেন তার নিজেদের বাড়ি কেন্দ্রে আসতে পারেন এবং ভোট দিয়ে যেন নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন- আমরা সব বাহিনী মিলে সেই ব্যবস্থা করবো। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের ফলাফল হওয়ার পরও কেউ যাতে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেটিও আমরা দেখবো।’

বিজিবির লে. কর্নেল আল-আমিন বলেন, ‘র‌্যাব-পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মিলে আমাদের টিম কাজ করছে। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য যা কিছু দরকার আমরা তা করবো। সুন্দর পরিবেশ অব্যাহত রাখবো।’