খসে পড়ছে শ্রেণিকক্ষের পলেস্তারা, গাছতলায় পাঠদান

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষের ছা‌দের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ছে। আত‌ঙ্কে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ও গাছতলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাদ্রাসার পাশের একটি বিদ্যালয়ে গাছতলায় পাঠদান চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। মাদ্রাসার একতলা ভবনে মোট তিনটি কক্ষ। ভবনটির অধিকাংশ পিলার ও বিমে বড় আকারের ফাটল ধরেছে। পিলার, বিম ও ছাদের সুড়কি-পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এসব কক্ষ পাঠদানের জন্য অনুপযোগী হয়ে গেছে বলে দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের।

পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৯৬ সালে নির্মিত। একতলা বিশিষ্ট মাদ্রাসায় রয়েছে তিনটি কক্ষ। এর মধ্যে দুটিতে পাঠদান চলতো। একটি কক্ষ অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

শ্রেণিকক্ষের ছা‌দের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ছে

সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার গোস্বামী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীও জানেন। তারা পরিদর্শনও করে গেছেন। হঠাৎ করেই গত মঙ্গলবার দুপুরে সুড়কি-পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে। আপাতত পাশের একটি বিদ্যালয়ে ও গাছতলায় পাঠদান করছি। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিমুক্ত পাঠদানে নতুন একটি ভবন দরকার।

পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ফকরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসায় মোট ২৭৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলতো ওই ভবনে। কিন্তু ভবনের বিম ও ছাদের সুড়কি-পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চাচ্ছে না। যারাও আসছে তাদেরকে আমরা বাধ্য হয়ে পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড শ্রেণিকক্ষে ও গাছতলায় ক্লাস নিচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান সম্ভব না। যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে আপাতত বিকল্প উপায়ে পাঠদানের জন্য বলা হয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত সময়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।