কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও দেশে হাহাকার নেই: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সম্প্রতি কিছু কিছু নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু খাদ্যের কোনও সংকট ও হাহাকার নেই। দেশে খাদ্য নিয়ে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যার জন্য অনশন, মানববন্ধন বা হরতাল করতে হবে।’

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘মোটা চালের দাম গত দুই মাসে বাড়েনি। পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী, কৃষকেরা এখন দাম বাড়াতে চাপ দিচ্ছে। আলুর দাম কম, কৃষকেরা দাম বাড়াতে চাপ দিচ্ছে। রোজা শুরু হচ্ছে- বেগুনের দামও স্থিতিশীল। তারপরও বর্তমান সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে কমমূল্যে এক কোটি পরিবারকে নিত্যপণ্য দেওয়াসহ নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপির আন্দোলন, অনশন করা শোভা পায় না। বরং তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। পত্র-পত্রিকা ও রেকর্ড থেকে প্রমাণ দিয়ে বলতে পারি, তাদের শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে প্রতিবছর মঙ্গা হয়েছে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে থেকেছে। বিএনপি জোটের আমলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।’

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহা. ফারুক খান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মঙ্গার দেশ থেকে খাদ্য রফতানিকারী দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো- দেশের মানুষ যখন এগিয়ে যায়, বিশ্বের মানুষ যখন স্বীকার করে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের ভেতরে বিএনপি-জামায়াত দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার জন্য গুজব রটনা, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে।’

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।