দুই মেয়েকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ, ৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি মায়ের

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নারীর সন্ধান পাঁচ দিনেও মেলেনি। গত রবিবার দুই মেয়েকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন ওই মা। সঙ্গে সঙ্গে এক সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বুধবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় নরসিংদী এলাকা থেকে মুর্শিদা আক্তারের (৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তবে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি মায়ের। মুর্শিদা আক্তার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের মেয়ে।

নরসিংদী বঙ্গারচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার নিজামুদ্দিন ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শিশুর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে সেটি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মা-মেয়ের মধ্যে মুর্শিদার বলে শনাক্ত করা হয়। পরে মরদেহের ছবি স্বজনদের কাছে পাঠানো হয়। স্বজনরা রাতেই নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শিশুর মামা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এক আত্মীয় ফেসবুকে ছবি দেখে প্রথমে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানায়। এরপর নরসিংদীর পলাশ থানার বঙ্গারচর নৌ-ফাঁড়িতে যোগাযোগ করলে ছবি এবং পোশাক দেখে নিশ্চিত হই। রাতেই মরদেহ কাপাসিয়ায় নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার সকালে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার দুই মেয়ে তাহমিদা আক্তার (৯) ও মুর্শিদা আক্তারকে (৭) বাজার থেকে জুতা, জামা কাপড় ও শিঙাড়া কিনে দেওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মা আরিফা আক্তার (৪০)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী এবং স্থানীয় বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে। দুপুরে ওই দুই শিশু সন্তানকে সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকায় নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে যান। সেখানে গিয়ে হঠাৎ দুই সন্তানের হাত ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন। এসময় স্থানীয়রা তাহমিদাকে উদ্ধার করলেও আরিফা ও মুর্শিদা নিখোঁজ হয়। ঘটনার পর নিখোঁজ মা ও মেয়েকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করলেও তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।