২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় 

ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ভোগান্তি নিয়ে বাড়িফেরা মানুষ এবার কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। গতকাল সোমবার (১১ জুলাই) ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) থেকে খোলা সরকারি বেসরকারি সব অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বিমা, পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠান। ফলে গত রাত থেকেই পদ্মা সেতু হয়ে নাড়ির টানে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে আসা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।

দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সরেজমিন পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে অবস্থান করে দেখা যায় দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে ফিরছেন লোকজন। তারা অনেকেই বাসে চড়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন। অনেকে আবার ছোট ছোট যানবাহনে পদ্মা সেতু এলাকায় এসে বাসে চড়ে সেতু পার হয়ে রাজধানীর দিকে রওনা হয়েছেন। ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে মানুষ চলাচল করতে পারছেন। সকালে কিছুটা ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ আরও বেড়েছে।  

মাদারীপুর থেকে ঢাকায় যাওয়া মাহবুব হোসেনের সঙ্গে কথা হয় মোবাইল ফোনে। তিনি বলেন, ‘সকালে বাড়ি থেকে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে কর্মস্থলে পৌঁছেছি। রাস্তা ও সেতু এলাকায় তেমন চাপ ছিল না।’

এমদাদুল হক মৃধা নামে একজন বলেন, পাচ্চর থেকে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পৌঁছাতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে এক মাত্র পদ্মা সেতুর কারণে। যেখানে আগে এই পথে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগতো। 

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, চাপ না থাকায় পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে নির্বিঘ্নে পারাপার করা হচ্ছে গাড়ি। দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রী নিয়ে সেতু পার হচ্ছে যানবাহনগুলো। তবে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ গাজী শওকত হোসেন বলেন, সকাল থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপও বেড়েছে। তবে যাত্রা নির্বিঘ্ন ও সহজ করতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন।