গোপালগঞ্জে ইমাম হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মসজিদের ইমাম ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান হত্যা মামলায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে অপর দুই আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। এ মামলার অপর ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মুকসুদপুর উপজেলার চাওচা গ্রামের মৃত হোসেন মোল্যার ছেলে হায়দার মোল্যা (৬২), একই গ্রামের নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে ইউনুস মোল্যা (৩৫) এবং হিটলার মোল্যা (৩২)। এছাড়া মামলায় হায়দার মোল্যার ছেলে আক্তার মোল্যাকে এক বছর এবং বাদশা মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) মো. শহিদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৬ সালের ৮ জুলাই সকালে মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের চাওচা পূর্বপাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ওয়াদুদ খান ওরফে জিন্নাত খান বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় আসামিরা পুকুরের মালিকানা দাবি করে মাছ শিকারে বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হলে তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করে আসামিরা। আহত অবস্থায় জিন্নাত খানকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. আলীম খান বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক দীপক কুমার সিকদার ২০১৭ সালের ২১ মার্চ আদালতে ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। বাকি একজনকে বাদ দেন।

সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে মামলার আসামি হায়দার, ইউনুস ও হিটলারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অপর আসামি আক্তারকে এক বছর ও সাগরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১১ আসামিকে খালাস দেন আদালত।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি শহিদুজ্জামান খান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ও মো. আবু তালেব শেখ।