বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ: আরও ২ জনের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে জিম্মি করে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধভাবে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নওরিন করিমের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। 

এর আগে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে সোহাগ মণ্ডল ও বাবু হোসেন জুলহাস নামের দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দুবার কারাভোগ শেষে জামিনে বেরিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার ছয় জন আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে আজ সোহাগ ও বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার ১৩ জনের মধ্যে রয়েছে মাহমুদুল হাসান মুন্না ওরফে রতন হোসেন, রাজা মিয়া, আউয়াল, নুরনবী, আব্দুল মান্নান, সোহাগ মণ্ডল, বাবু হোসেন জুলহাস, জীবন প্রামাণিক, হাসমত আলী, আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হান, রাসেল তালুকদার, আলাউদ্দিন ও নাঈম সরকার। এদের মধ্যে মোট ৯ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ঈগল এক্সপ্রেসের বাসটি গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসে। গন্তব্য ছিল নারায়ণগঞ্জ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌঁছে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে। মহাসড়কের পাশের ওই হোটেলে যাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া করেন। যাত্রাবিরতি শেষে রাত ১২টার দিকে গন্তব্যে রওনা দেয় বাসটি। এরপর সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে তিন ধাপে ১৩ জন বাসটিতে ওঠে। পরে বাসে শুরু হয় ১৩ ডাকাতের তাণ্ডব। প্রথমে ছুরি ঠেকিয়ে বেঁধে ফেলে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে। এরপর যাত্রীদের বেঁধে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লুট করে মালামাল। লুটপাট শেষে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ডাকাতি চালিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় একটি বালুর স্তূপে বাসটি উল্টে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মধুপুর থানায় ওই বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।