টাঙ্গাইলে ভোট দিতে পারেনি ৭৩ জনপ্রতিনিধি 

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা করার সময় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নাম তালিকাভুক্ত না হওয়ায় মধুপুরে ভোট দিতে পারেননি ৭৩ জন জনপ্রতিনিধি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংরক্ষিত আসন-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী-গোপালপুর) প্রার্থী এবং ছয়টি ইউনিয়নের ৭৩ জনপ্রতিনিধি। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা করার পর মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি, অরণখোলা, কুড়াগাছা, মহিষমারা, ফুলবাগ চালা ও আউশনারা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ইউনিয়নগুলোতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন। তবে যেসব জনপ্রতিনিধি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন তারাই শুধু ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। 

মধুপুরে সদস্য পদে খন্দকার শফি উদ্দিন মনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তবে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী-গোপালপুর) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আসনে তিন প্রার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা (দোয়াত কলম), মাহমুদা খাতুন (হরিণ) ও মোছা. আছমা খাতুন (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

শোলাকুড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইন উদ্দিন খান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। নির্বাচনের পর ভোটার তালিকা করা উচিত ছিল।’

টাঙ্গাইলের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, ভোটার তালিকা করার সময় ওই ছয় ইউনিয়নের নির্বাচন হয়নি। সেজন্য নির্বাচনের পরে যেসব জনপ্রতিনিধিরা পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন শুধুমাত্র তারাই ভোটার তালিকায় ছিলেন। ওইসব ইউনিয়নে যারা নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন তারা ভোটার তালিকাভুক্ত না হওয়ায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।