বিস্ফোরণে দগ্ধ রাশেদুল মারা গেছেন, স্ত্রী-সন্তান আইসিইউতে

মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ রাশেদুল ইসলাম (৪৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘দগ্ধ অবস্থায় আমার ছোট ভাই, তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও একমাত্র সন্তান রিফাত হোসেনকে (৩) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মঙ্গলবার বিকালে রাশেদুলকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তার স্ত্রী-সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারাও আইসিইউতে রয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। পাশেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন। গত সোমবার ঝড়-বৃষ্টির রাতে বাসার দরজা জানালা বন্ধ রেখে ও গ্যাসের বার্নার খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। একটি কক্ষে রাশেদুল ও মাংসের দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮) এবং অপর কক্ষে সোনিয়া আক্তার ও শিশুসন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন।

ভোর চারটার দিকে রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় একটি কক্ষের দেয়াল ধসে যায় এবং দরজা-জানালা আশপাশে ছিটকে পড়ে। এতে চার জনই দগ্ধ হন। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর দগ্ধ রাশেদুল এবং তার স্ত্রী-সন্তানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে হতরাতে রাশেদুল মারা গেছেন। দগ্ধ ফারুককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার জানান, অগ্নিদগ্ধ চার জনের একজন মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।