এইচএসসির প্রশ্নফাঁস করে বিক্রি করতো তারা

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতাসহ আট আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫। র‌্যাবের মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আড়াইটার দিকে বাগমারা থানার ভবানীগঞ্জ এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে র‌্যাব-৫ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা মোরশেদুল আলমকে (৪৮) গ্রেফতার করা হয়। তিনি নওগাঁ জেলার পত্নীতলার চকভবানী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। এ সময় আসামির থেকে এইচএসসির অরিজিনাল প্রশ্নপত্র এক সেট ও গাইড বই পাঁচটি, ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর ২০০ সেট, ফটোকপি মেশিন দুটি, মোবাইল সাতটি ও ৯টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

এ সময় মূল আসামির সহযোগী মমিন মন্ডল (২১), আদর্শ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি এম কলেজের প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম (৩৭), একই কলেজের আরেক প্রভাষক শামসুল ইসলাম (৪৫), কালিতা সবুজ সংঘ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলাম জনি (৩৩), দুলাল হোসেন (৪৮), শরিফুল ইসলাম (২৫) ও তোফায়েল হোসেনকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি চক্র পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হল থেকে নিয়ে এসে তার উত্তর তৈরি করে তা স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে। যা পরে পরীক্ষার হলে বিভিন্ন মাধ্যমে সাপ্লাই দেয়। র‌্যাব-৫ এর একটি টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সত্যতা পায়। পরে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তারা পরস্পর যোগসাজশে ১৭ নভেম্বরের এইচএসসি (বিএমটি/বিএম) হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাহায্যে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে মোবাইলে ফোনে ছবি ধারণ করে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে প্রশ্নপত্রের কপি এবং অভিনব কায়দায় উত্তরপত্র প্রস্তুত করে উত্তরপত্র ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করতো। এ বিষয়ে জেলার বাগমারা থানায় মামলা একটি মামলা করা হয়েছে।