ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন মঞ্জুরুলও

ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই মারা গেছেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে পোশাক শ্রমিক মঞ্জুরুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়।

এর আগে শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মেয়ে মরিয়ম আক্তারের (২) মৃত্যু হয়। এরপর মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে মঞ্জুরুলের স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫) মারা যান। একই দিন বিকালে জোসনার ভাগনি সাদিয়া আক্তার (১৮) মারা গেছেন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিস্ফোরণে দগ্ধ জোসনার বড় বোন হোসনা বেগম (৩০)।

রান্নাঘরে জমে ছিল গ্যাস, দিয়াশলাই জ্বালাতেই দগ্ধ হয় পাঁচ জন

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মঞ্জুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হোসনা বেগম। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

জানা গেছে, ধামরাই পৌরসভার কুমরাইল এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন মঞ্জুরুল। গত শনিবার ভোরে বিকট শব্দে তাদের বাসায় আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়রা আশপাশের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিভিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধার করেন। এ সময় আগুনে সবাই ঝলসে যান। পরে পাঁচ জনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।

আরও খবর—

রান্নাঘরে জমে ছিল গ্যাস, দিয়াশলাই জ্বালাতেই দগ্ধ পরিবার

ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ মেয়ের পর মায়ের মৃত্যু

ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু