কেক-প্যাটিস খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু, দোকানদার রিমান্ডে

গাজীপুরে কেক ও প্যাটিস খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু এবং ছয় মাসের শিশু অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি দোকানি সাইফুল ইসলামের (৪৮) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাজীপুর সিএমএম আদালতের বিচারক নিয়াজ মখদুম এই আদেশ দেন।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মারা যাওয়া শিশুদের বাবা আশরাফুল ইসলামের করা মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের গাজীপুর সিএমএম আদালতে তুলে পুলিশ প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। তবে আদালত শুধু প্রধান আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আসামি সাইফুল ইসলামের দোকান থেকে কেক ও প্যাটিস কিনে এনে দুই শিশু সন্তানকে খাইয়েছিলেন মামলার বাদী ও তাদের বাবা আশরাফুল ইসলাম।

গ্রেফতার বাকি তিনজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মিশু মিয়ার ছেলে সোহেল রানা (৪৮), একই জেলার নবীনগর উপজেলার কোনাউর গ্রামের দানু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৪৫)। তারা সালনা এলাকার একটি বেকারিতে কর্মরত এবং ওই বেকারি থেকে সাইফুলের দোকানে কেক ও প্যাটিস সরবরাহ করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম জানান, দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার তাদের বাবা মামলা করলে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত প্রধান আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করে অন্যান্যদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি আরও জানান, দোকানি যে কেক ও প্যাটিস বিক্রি করেছিলেন- তাতে কোনও বিষ মেশানো হয়েছিল কি না, সেটি জানতে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরের সালনা (ইপসা গেট) এলাকায় কেক ও প্যাটিস খেয়ে দুই বোন আশামনি (৬) ও আলিফা আক্তার (২) অসুস্থ হয়ে মারা যায়।