মাদারীপুরের শিবচরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের সময় পানিতে ঢিল ছুড়ে মারাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় এক শিশুর পিতা-মাতাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাঁশকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই এলাকার আনোয়ার মোল্লা (৬৭) তার ছেলে ছেলে কালু মোল্লা (৪০),আরেক ছেলে গাজী মোল্লা (৩২) কালু মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া (৩২)।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় একটি পুকুরে হোসেন ঢালীর ছেলে নাইম ঢালী (১২) বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছিল। এ সময় কালু মোল্লার ছেলে জোনায়েদ (৮) ওই বড়শির পাশে পানিতে একটি ইটের টুকরা ছুড়ে মারে। এ সময় নাইম ও জোনায়েদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে নাইম এ ঘটনা তার বড় ভাই ইয়াছিন ঢালীকে জানালে সে তার ছোট ভাই ফারুক ঢালী ও তাদের চাচা সিদ্দিক ঢালীসহ কয়েকজন জোনায়েদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আনোয়ার মোল্লা, তার ছেলে কালু মোল্লা, আরেক ছেলে গাজী মোল্লা এবং কালু মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া আহত হয়। এদের মধ্যে কালু মোল্লা ও গাজী মোল্লার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে কালু মোল্লার স্ত্রী রাবেয়া বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ করেন। রাবেয়া বলেন, ‘যারা আমার স্বামী, শ্বশুর ও দেবরকে কুপিয়েছে। আমাকে মেরেছে। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেছে। আহতদের উদ্বার করে ভ্যানে শিবচর আনার পথে সেখানেও তারা হামলা করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার চাই।
আহত কালু মোল্লা বলেন, ‘আমি ঘুমানো ছিলাম, ঘরের বাইরে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ওরা আমার ভাইকে পেটাচ্ছে। পরে আমি কী হইছে জানতে চাইলে তারা আমার মাথায় একটি কোপ দেয়। পরে আমি আমার ভাইকে ধরতে গেলে তাকেও কোপায়। তারা আমার স্ত্রীকেও মেরেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে হোসেন ঢালী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মাছ ধরতে গিয়ে ছোট বাচ্চারা মারামারি করেছে। পরে আমার ছেলে নাইমকে গাজি মোল্লা পানিতে চুবায়। তাদের ভয়ে আমার ছেলেটা অন্য বাড়ির ওপর দিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার বড় ছেলেকে ঘটনাটি জানায়। এরপর তারা ওদের বাড়িতে যায় এবং ঘটনার বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় গাজী মোল্লা সেখানে একটি দোকানে থাকা বাসের লাঠি নিয়ে ওদের দৌড়ানি দেয়। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি মামলা হবে।’