মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটের অদূরে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল।

মরদেহটি গজারিয়ার ফুলদি গ্রামের মফিজুলের মেয়ে নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়ার বলে শনাক্ত করেছে স্বজনরা। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা ও ইমাত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আক্কাস আলী বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের চাচা মো. জাহিদুর রহমান তার মরদেহ শনাক্ত করে। এ পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ২ শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্তের জন্য নৌবাহিনীর অত্যাধুনিত সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ চর কিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটের অদূরে গজারিয়ার মেঘনা নদীতে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় আনন্দ ভ্রমণের ট্রলারটি। এতে নিখোঁজ হয় ৬ জন। শনিবার সকালে সুমনা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ ও রবিবার সকালে জান্নাতুল মারওয়া ও পরে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।