মেলার পাশ থেকে ‘টাইম বোমা’ উদ্ধার

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের কাছে আয়োজিত মা বুড়ির মেলার পাশ থেকে একটি ‘টাইম বোমা’ উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটি ধ্বংস করেছে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ইউনিয়নের আটিগ্রাম এলাকা থেকে বোমাটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৪-এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন। 

র‌্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেলার পাশে বলাকা সংসদ ক্লাবের সামনে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার, র‌্যাব-৪ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিল ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বোমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যদের খবর দেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাটি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটান।

কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘টাইম বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধারের পর অন্যত্র নিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে থেকে আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পাশের মাঠে প্রতি বছর ‘মা বুড়ির মেলা’ হয়ে আসছে। মেলার আয়োজনে আধিপত্য নিয়ে এলাকার তিন পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে মেলার পাশে মাটি খুঁড়ে টাইম বোমা রেখে গিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।

আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বলেন, ‘প্রায় ২০০ বছর ধরে মা বুড়ির মেলা হয়ে আসছে। সেখানে তিন পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যথারীতি মেলা চলছে।’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘মেলার আয়োজন ঘিরে আধিপত্য নিয়ে এলাকার তিনটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে মেলায় আসা লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টিতে সেখানে টাইম বোমা রেখেছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’