গাজীপুর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যাল (কাজীবাড়ি) এলাকায় টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ।
ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী ট্রেন ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। ঘটনার পরপরই গাজীপুর জেলা প্রশাসক, বিজিবি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসেছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি কী কারণে ঘটেছে, কারও গাফিলতি আছে কিনা, এসব বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক জানান, ভুল সিগন্যালের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তেলবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল রংপুরে এবং শুক্রবার থাকায় টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল। যাত্রীবাহী ট্রেনটি তেলবাহী ট্রেনের লাইনে প্রবেশ করলে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
জয়দেবপুরের স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া জানান, সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেন চলাচল কখন শুরু হবে এটি এখনও বলা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার পর থেকে আশপাশের বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাবিরতি করা হয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্যরা নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন ফার্মেসি ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: