মুন্সীগঞ্জে কার্টনের ভেতর থেকে মানুষের শরীরের একাধিক খণ্ডিত অংশ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় কাগজের কার্টনের ভেতরে স্কচটেপ প্যাঁচানো মানুষের শরীরের একাধিক খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মাথা ও শরীরের একাংশ পাওয়া গেলেও হাত-পা এবং অন্যান্য অংশ পাওয়া যায়নি। খণ্ডিত অংশ হওয়ায় নিহতের পরিচয় এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের খানবাড়ি এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে এসব খণ্ডিত অংশ ‍উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। বস্তা খুলে তারা দেখেন কাগজের কার্টনের ভেতরে স্কচটেপ প্যাঁচানো মানুষের শরীরের একাধিক খণ্ডিত অংশ। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খণ্ডিত মাথা ও শরীরের একটি অংশ উদ্ধার করেছে। এরপর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে শরীরের বাকি অংশগুলো পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিকে অন্যত্র হত্যা করে লাশ খণ্ড-বিখণ্ড করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিছুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য সিআইডি এবং পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে এসে কার্টনের ভেতরের স্কচটেপ খুলে খণ্ডিত অংশগুলো পর্যবেক্ষণ করবে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য এগুলো মর্গে পাঠানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় এ ধরনের মানবদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়ার খবর পেয়েছি আমরা। সেখানেও কাজ করছে সিআইডি ও পিবিআই। পর্যবেক্ষণ শেষে বিশেষজ্ঞ টিম মুন্সীগঞ্জ এসে কাজ শুরু করবে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আমাদের ধারণা, ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর আলামত গোপন করতে দেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে।’