বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নারায়ণগঞ্জের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় ছদ্মবেশে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে দালাল সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়সংলগ্ন বিআরটিএর কার্যালয়ে এই অভিযান চালানো হয়। দুদকের সমন্বিত নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তুষার আহমেদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সমন্বিত কার্যালয় নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বলেন, ‘বিআরটিএর নারায়ণগঞ্জ অফিসে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স প্রদানসংক্রান্ত নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে একটি টিম গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে। এর একপর্যায়ে দালাল সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে বিআরটিএর অফিস প্রধানের কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তার নিকট কোনও সন্দেহজনক কাগজপত্র না পাওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটিএ কার্যালয়ে আসা সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে তদারকি নিশ্চিতকরণ এবং সেবা প্রদানে সিটিজেন চার্টার যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য অফিস প্রধানকে পরামর্শ প্রদান করে দুদক টিম।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নারায়ণগঞ্জের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গাড়ির ফিটনেস কীভাবে করা হয়, লাইসেন্স করাতে গ্রাহকদের কোনও ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কিনা সেগুলো দেখতে দুদক টিম এসেছিল। এ ছাড়া এখানে কোনও দালাল রয়েছে কিনা সেটাও দেখেছেন তারা। এ ছাড়া স্বাক্ষরবিহীন একটি ফিটনেসের কাগজ নিয়ে গেছে দুদক টিম। তবে তারা কোনও নথি নেয়নি।’
তবে এই অভিযান পরিচালনার টিমে আর কোন কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন তা এখনও জানায়নি দুদকের সমন্বিত কার্যালয় নারায়ণগঞ্জের কর্মকর্তারা।