কারচুপির অভিযোগে টাঙ্গাইলে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

ইউপি নির্বাচন-২০১৬টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী। বৃহস্পতিবার নির্বাচন শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মির্জাপুর ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জসিম ভোট বর্জন করেন।
তিনি নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হালিমুজ্জামানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, মির্জাপুর ইউনিয়নের সাতটি কেন্দ্রে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোরপূর্বক ভোট দিচ্ছে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন। প্রশাসনের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নির্বাক রয়েছেন। জোরপূর্বক ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

ওই কেন্দ্রের ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট মালা আক্তার জানান, ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল লতিফ আগেই ফলাফল শিটে তার স্বাক্ষর নিয়ে নেন। তিনি না বুঝেই ওই স্বাক্ষর দিয়েছেন। কিন্তু, এরপরেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ইচ্ছেমতো সিল মারতে থাকে। একই চিত্র দেখা গেছে, দীঘলাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, বড়শিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মান্দিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রগুলোতেও এজেন্টদের বের করে দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হালিমুজ্জামানের নৌকা প্রতীকে সিল মারার মহোৎসব চলতে থাকে। এছাড়াও মোহনপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মনিসহ দুইজনকে ব্যাপক মারধর এবং বিএনপি সমর্থকদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল লতিফ এমন অনিয়মের কথা স্বীকার করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই সব পোলিং এজেন্টের সই নেওয়া হয়েছে। তাদেরও সই নেওয়া হয়েছে। পরে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।

এদিকে, ধোপাকান্দী ইউনিয়নের জোতগোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রহিমের নৌকা প্রতীকের পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হাই ও একই উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিক্সন।

 

/বিটি/টিএন/