খুলনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চরমপন্থী নেতা নিহত

বন্দুকযুদ্ধখুলনার কৈয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী নেতা জিয়া সানা ওরফে হাতকাটা জিয়া ওরফে বোমারু জিয়া (৪৫) নিহত হয়েছে। সে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির মৃণাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। এ সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। শুক্রবার ভোর রাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি পাইপগান, চার রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা ও পঞ্চাশ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

নিহত জিয়া সানা ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এলাকার বাবর আলীর ছেলে।

আহত পুলিশের এসআই ফরিদ আহমেদ, কনস্টেবল বদরুল আলম, রবিউল ইসলাম ও দেবব্রত বিশ্বাসকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, জিয়ার নামে ডুমুরিয়া থানায় ছয়টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে। একটি হত্যা মামলায় সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

ওসি আরও জানান, রাত আড়াইটার দিকে খবর আসে সন্ত্রাসীরা কৈয়া বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ তখনি ওই এলাকায় যায়। সেখানে তল্লাশি করতে করতে বাজারের দক্ষিণ পাশে থাকা বিধান সড়কের সাউথ বাংলা হাউজিং প্রকল্পের ভেতরে পৌঁছে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় পনের মিনিট পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে জিয়া সানাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধাদান ও ডাকাতির পরিকল্পনাসহ প্রস্তুতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশের এসআই  নুরুল আমিন মামলা দুটির বাদী হয়েছেন।

/বিএল/ 

আরও পড়ুন:
ঘাতক হিসেবে ‘আত্মহত্যা’ই শীর্ষে!