উদ্বোধনের অপেক্ষায় কুয়েটের পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার

শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে কুয়েটের শহীদ মিনারে১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) খুলনা এবং ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। অর্ধশত বছরের এই পথচলায় বটতলায় স্থাপিত ছোট একটি প্রতীকী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে পালিত হতো একুশে ফেব্রুয়ারি। সে অবস্থার অবসান ঘটিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে সম্পন্ন হয় কুয়েটের পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার। এখন চলছে এই স্থাপনার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। আগামী ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে এ পুর্ণাঙ্গ শহীদ মিনারের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)  গণসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার জানান, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এক কোটি টাকা ব্যয়ে দুই হাজার ২২২ বর্গমিটার এলাকায় ১১.৯৮ মিটার উচ্চতার শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর কুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর শহীদ মিনার নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটিতে পাঁচটি লেভেল এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে সম্মান জানিয়ে ২১টি ধাপ রয়েছে। পঞ্চম লেভেলে রয়েছে শহীদ মিনারের মূল বেদী। শহীদ মিনারের বিভিন্ন লেভেলে গাছ ও সবুজ ঘাস রাখা হয়েছে। যা বাংলাদেশকে প্রকাশ করে। এছাড়া শহীদ মিনারে রয়েছে লাল সূর্য। পেছনে এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে নয়রাভিরাম লেক। ভাষা শহীদদের সম্মানে নির্মিত এ স্থাপনাটি নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি আরও জানান, ‘২০১২ সালের ২৪ জুলাই একনেকে ওই অর্থ বছরের প্রথম সভায় ৫২ কোটি ১২ লাখ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে  খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধাদি উন্নয়ন প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। এ প্রকল্পেরই একটি অংশ হচ্ছে শহীদ মিনার।’কুয়েটে শহীদ মিনারের মূল নকশা

কুয়েটের উপাচার্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কিছু সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। এ বছর ২১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এখানে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো শুরু হতে পারে। তবে ৩ মার্চ খুলনা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  এ শহীদ মিনারের উদ্বোধন করতে পারেন বলে সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্বোধনের পর ২০১৯ সাল থেকে যথাযথ মর্যাদায় আমাদের ক্যাম্পাসে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হবে।’